আজ ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বিদেশ ফেরত প্রতারিত অভিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পূনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে আভাস

ভোলা প্রতিনিধি।।

স্বপ্নের বিদেশ নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের কথা বলে দালাল ও বিভিন্ন প্রতারিত চক্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ফেরত প্রতারিত অভিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পূনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা আভাস (AVAS)।

জানা যায়,, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন(MJF) বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের সহায়তায় এবং সুইজারল্যান্ডের সুইস ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন( SDC) এর আর্থিক সহায়তায় ভোলা জেলার সদর উপজেলা,দৌলতখান,লালমোহন, ও চরফ্যাশন এ চারটি উপজেলায় বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুণর্বাসনের জন্য ” রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নিং মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারস ” নামে একটি প্রকল্প ভোলার সদর উপজেলায় ০১-০৩ ২০২৩ তারিখ থেকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন দালাল ও প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে বিদেশ গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব বিদেশ ফিরত অভিবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন তথ্য সেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং অভিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পূনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন প্রকার দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রকার অর্থনৈতিক, উৎপাদনশীল এবং আয় বর্ধন মূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে, যাতে তারা আয় বৃদ্ধি করে স্বার্বলম্বী জীবনযাপন করতে পারে। এছাড়াও বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের মধ্যে যারা মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে আছে তাদেরকে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলা, যাতে করে অতি দ্রুত সময়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

গতকাল ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় গাজীপুর রোডস্থ আভাস এর ভোলা জেলা অফিস কার্যালয়ে ম্যানেজার রাম প্রসাদ জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০ জন বিদেশ ফেরত অভিবাসীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ করা হবে। যাতে করে তারা খুব দ্রুত সময় আয় বৃদ্ধি মূলক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। তিনি আরও জানান,অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে একটি অভিবাসী ফোরাম গঠন করা হবে। সরকারি,বেসরকারি, স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি, ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পের পক্ষ থেকে ফোরামটি গঠন করা হবে। সেখানে যাতে বিদেশ ফেরত অভিবাসী শ্রমিকরা তাদের প্রতারণার কথাটা শেয়ার করতে পারে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে উঠান বৈঠক, ও সচেতনতা মূলক সভার মাধ্যমে নাগরিকদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার তথ্য প্রদান করা হবে। ফলশ্রুতিতে বিদেশ গমনের জন্য কি ধরনের বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে সচেতন হওয়ার, পাশাপাশি প্রতারণার হাত থেকে খুব সহজেই বেঁচে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget