আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

রিজেন্টের পর এবার শাহাবুদ্দিন মেডিকেলেও প্রতারণা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই কভিড-১৯ পরীক্ষা ও  র‌্যাপিড কিট দিয়ে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করে আসছিল রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত সাহাবউদ্দিন মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতাল। অথচ তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করা হয়েছিল।

আজ রবিবার বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলাকালে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র‌্যাপিড কিট দিয়ে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এ ছাড়া তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। এর পরও তারা গোপনে কভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নাই। আর যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।  

তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন-মাস্ক, গ্লাভস-এগুলো তারা একের অধিকবার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বারবার ব্যবহার করছে।  

তিনি বলেন, আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ঔষধাগারেও অভিযান চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget