আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

করোনার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবে বাংলাদেশ, তাও সবার আগে

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ আগে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য সচিব এম এ মান্নান। সোমবার (২০ জুলাই) কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পরামর্শ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ভার্চুয়াল সভায় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি নিয়ম আছে, যেসব দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের নিচে, তারা ভ্যাকসিন ফ্রিতে পাবে। সেই হিসেবে আমরা ফ্রিতে পাবো। আমরা চেষ্টা করবো, বাংলাদেশ যেন আগে পায়।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। স্বাস্থ্ খাতে যে ইমেজ সংকট হচ্ছে, এটা দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নন-কোভিড রোগীদেরও হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেন তিনি। 

এম এ মান্নান বলেন, গত এক মাসে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে একজন নতুন পরিচালক এসেছেন। তার ভূমিকার কারণে গত এক মাসে এ খাতে ১২৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য খাতের গভীর সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এই সংকট দূর করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

এদিকে, প্রথম চীনের একটি ভ্যাকসিনকে বাংলাদেশে ফেজ থ্রি ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবি’কে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বিএমআরসি। আইসিডিডিআরবি’র অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পর দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।

করোনা ভাইরাসের এ ভ্যাকসিনটি প্রাথমিকভাবে সরকারি ৮টি কোভিড হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগ করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।

এর আগে সবাইকে ছাড়িয়ে করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে চীন। গত ২৯ জুন ইয়াহু নিউজের খবরে বলা হয়, দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে।

তবে আপাতত ভ্যাকসিন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহার করা হবে। স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অব মিলিটারির একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।

বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল দেয়া হচ্ছে সেটি চূড়ান্ত সফল হলে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চীন সফলভাবে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারলে যাবতীয় সহযোগিতা ও সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে দেশটি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান।

গত ২১ জুন ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও চীন নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget