ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহকে (৩৫) মঙ্গলবার বিকেলে ছয় বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে সরাইল থানা পুলিশ। আটকের পর পুলিশের উপর হামলাও করেন মাসুম বিল্লাহ। তবে রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
পুলিশ জানায়, মাসুমের সঙ্গে থাকা এনামুল হক নামে এক যুবককেও এ সময় আটক করা হয়। জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। মাসুমের সহযোগী এনামুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডার জসিম উদ্দিনের ছেলে।
মো. মাসুম বিল্লাহ নিজেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচয় দিতেন। মাসুমের বিরুদ্ধে আরো তিনটি মামলা রয়েছে। ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আরো দুইটি পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কোনো ধরণের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট নেই। মাসুম বিল্লাহ এমনিতেই এটা বলে বেড়াতেন। তিনি আরো জানান, কেউ অপরাধ করলে সেটার তো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবেই।
মাসুমের কর্মীরা দাবি করেন, মাসুমকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানে থাকা এসসআই আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে বলে তাঁরা দাবি করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে টহল পুলিশের তল্লাশিতে পড়েন মাসুম বিল্লাহ। সরাইল থানার এএসআই মো. আলাউদ্দিন সঙ্গীয় এক কনস্টেবল নিয়ে মাসুমকে তল্লাশি করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন। তবুও ওই পুলিশ অফিসার মাসুমের দেহ তল্লাশি থেকে পিছ পা হননি। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ছয় বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ অবস্থায় মাসুম আবার পুলিশ কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাসুম বিল্লাহ সরাইল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাসুমকে থানায় নেয়ার পর পরই সরাইলের একাধিক জনপ্রতিনিধি পুলিশকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য।
সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল সরাইল) মো. আনিচুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, মাসুম বিল্লাহকে তল্লাশি ও ফেনসিডিলসহ আটকের পর পুলিশকে তিনি লাঞ্ছিত করে। তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply