আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

উর্ধমুখী চাল, নিম্নগামী ডাল, স্থিতিশীল পেঁয়াজ

সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সবধরনের চালের। সরবরাহ সংকটের দোহাই দিয়ে পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে শিগগিরই কমে যাবে চালের দর।

রোববার (৯ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর পাইকারি কৃষিমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন চালের বাজার স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমূখী সব ধরনের চালের দর। কেজিতে ২ টাকা করে বেড়ে নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫৫, মিনিকেট ৫০ থেকে ৫১, আটাশ ৪২ থেকে ৪৪ এবং গুটিস্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে।

পরিবহন সংকট এবং মিল মালিকদের কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানান পাইকাররা। তবে, পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম আবার কমে আসবে বলেও ভোক্তাদের আশার কথা শোনান তারা।

স্বস্তি রয়েছে ডাল ও মসলার বাজারে। কেজিতে ১৩শ’ টাকা পর্যন্ত কমে ২৫শ’ টাকায় এলাচ এবং কেজিতে ১৯০ টাকা কমে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জিরা। নিম্নমুখী ডালের বাজারে দেশি মসুর ১১৩ থেকে কমে বর্তমানে ৯৫ টাকায় আর মোটা মসুর ডালের প্রতি কেজি পড়ছে ৬০ টাকা। ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত এই ডালের দাম।

আর এই দাম কমতির কারণ, হিসেবে বিক্রেতাদের বিশ্লেষণ, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেশি রয়েছে। এর বিপরীতে করোনার মধ্যে ঈদের পর বিক্রি অনেকটাই কমেছে।

এদিকে, ঈদের পর কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে আদার দাম। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ঘাটতিকে সামনে নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।

তারা জানান, ঈদের আগে যে মানের আদা বিক্রি হত ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে, বর্তমানে সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

রাজধানীর এই পাইকারি বাজারে ২ টাকা কেজিতে কমে সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা এবং পাম ওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা কেজিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget