আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

‘ভারতের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক হলেও এ রক্ত দূষিত’

‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক আর চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেমের এমন বক্তব্যের জবাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। কিন্তু এ রক্ত তো দূষিত রক্ত। দূষিত রক্ত দিয়ে কী হবে? পরিচ্ছন্ন রক্ত দরকার। দূষিত রক্ত থেকে আমাদের মুক্তি দরকার।

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভারত প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশিদের মারলেও এ নিয়ে কোনো আওয়াজ নেই। অথচ নেপাল সরকার সংসদে ভারতের বিরুদ্ধে আইন করছে। ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে বাংলাদেশের মুক্তি নেই।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখে আছি। সম্প্রতি ঈদ গেল। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে ২৫ কোটি মানুষ তাদের নিজের ধর্ম পালন করতে পারেনি। তারা গরুর মাংস খেতে পারল না। অথচ হিন্দুরা চিরকাল নরেন্দ্র মোদির পূর্বপুরুষরা গরুর মাংস খেত। চোখ অন্ধ ভারত ২৫ কোটি মুসলমানকে ধর্ম পালন করতে দিচ্ছে না।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কি ওসি প্রদীপের ঘটনা, নাকি এর সাথে ভারতীরা যুক্ত আছে? এটাকে পরিষ্কারভাবে পরীক্ষা করা দরকার। এজন্য পুলিশি তদন্ত দিয়ে হবে না। একটা স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। ১০ শতাংশ পুলিশ আছে, যারা প্রদীপের মতো, বাকিরা সজ্জন। এ ঘটনায় যদি কমিশন গঠন না হয় সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একটা কাল্পনিক কাহিনিকে ভিত্তি করে ভারত রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছে। মহাভারত, রামায়ন দুটোর মধ্যেই প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের গল্পকাহিনি রয়েছে। তাদের গল্পকাহিনির ওপর ভিত্তি করেই ৫০০ বছরের পুরোনা বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে আজগব্বী রাম মন্দির নির্মাণ করেছে ভারত। এটা ভারত জাতির জন্য একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে একটা কথাও বলিনি।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় ছিলো, মন্দির যেমন হবে তার চেয়েও বড় করে অযোদ্ধায় মসজিদ করতে হবে। মন্দির তৈরি হলেও মসজিদ তৈরির কোনো আলামত নেই, এটাই হচ্ছে ভারত।

পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, বাসদ নেতা বজলুর রশিদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget