আবু মাহাজ।।
ভোলা প্রতিনিধি।।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলের নিকটবর্তী এলাকায় লঘুচাপে ভোলায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল ছিল ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রবল জোয়ারের চাপে ভোলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও শহর রক্ষা বাঁধ রামদাসপুর কান্দি নামক স্থান ইলিশার ৩নং ওয়ার্ড বেরী বাঁধ ভেঙে গেছে। ছুটে প্লাবিত হয়েছে মুরাদছবুল্লাহ্, উত্তর ইলিশা, সোনাডগী ও দক্ষিন ইলিশা গ্রামসহ হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদসবুল্লাহ পয়েন্ট (রামদাসপুর কান্দি) এলাকায় ১৫ মিটার জুড়ে বাঁধ ভেঙে যায়। পানিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, ফসলি জমি, মাছের ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধশত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সোনাডুগী ও রাজাপুর ইউনিয়ন বেড়িবাঁধ ও।
এদিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদী-তীরবর্তী মানুষ। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে।এদিকে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে ।ভোলা বৈরী আবহাওয়ার কারনে সদর উপজেলার ধনিয়া, ইলিশা, রাজাপুর, কাচিয়া, ভেদুরিয়া,শিবপুর, দৌলতখানের মদনপুর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ফেরি ও লঞ্চ টার্মিনাল। মনপুরার কলাতলি চর, ঢালচর, চর নিজাম, কুকরি মুকরির চর, কাজীর চর, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল সহ বহু চর চরাঞ্চলের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে আছে।ও বিভিন গ্রাম অতি জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।এ বিষয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকতা বলেন, এখন কোনো ব্যবস্থা ই নেওয়া সম্ভব নয়।পানি কমে গেলে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।
Leave a Reply