আজ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গাদের হাতে বাংলাদেশীরা জিম্মি!

রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশিদের জিম্মি করছে। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন মানিক শিকদার নামে একজন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেছেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। মানবতার খাতিরে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলাম এখন আমাদের জিম্মি করছে।

ডয়চে ভেলের পাঠক ভাবনায় এমন আরো কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা রোহিঙ্গাদের আচরণ নিয়ে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। এদের মধ্যে দুঃখ করে রায়ান খান নামে একজন বলেছেন, আমাদের দেশের কত মানুষের বসত বাড়ি ঘর ভিটা নেই। আর তাদেরকে এইভাবে সুযোগ করে দেওয়ার পরেও তারা যেতে চাইছে না। তবে সরকারের এ ব্যাপারে এত নমনীয়তা দেখানোর কারণ বুঝতে পারছি।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাকির হোসেন নামে একজন বলেছেন, একেই বলে ‘দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে বসবাসের সুযোগ দেয়াকে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন মোহাম্মদ আরশাদ। তিনি বলেছেন, দুনিয়ার সব দেশে শরণার্থী শিবিরগুলি সীমান্ত এলাকায় হয়ে থাকে। এতে শরণার্থীদের মনের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার একটা ঝোঁক থাকে। কিন্তু ভাসানচরে স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ দিলে তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চাইবে না।

এর আগে, ভাসানচর দেখে ফিরে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী দলের সদস্যরা সেখানকার সার্বিক অবকাঠামোকে ভালো বললেও থাকার ঘরের আকার নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। তাদের মতে, ওই ঘরে দুই-তিন জনের বেশি থাকা সম্ভব নয়।

তাদের কেউই এখনো ভাসানচরে গিয়ে থাকার পক্ষে মত দেননি। তারা বলছে, ঘর ছোট, ভাসানচরে থাকবো কিভাবে?

বিশ বছরেরও কম সময় আগে ভাসান চর জেগে উঠেছিল। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ভাসানচরের অবস্থান। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ তৈরি করেছে। এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget