সংঘর্ষের দু`সপ্তাহ পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতারা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আন্দোলনে ব্যাপক সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনার দু’সপ্তাহ পর সেখানে গেলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
শনিবার (১০ এপ্রিল) ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুছিয়ায় যান তাঁরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে ২৬ মার্চ বাইতুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে মুসুল্লিরা। এসময় পুলিশ ও আ.লীগ সমর্থকদের সংগে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে নেমে আসেন হেফাজত কর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংগে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে হেফাজতের ২১ জন শহিদ হন।
ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শনে যান পুলিশ মহা-পরিদর্শক বেনজির আহমেদ। শনিবার (১০ এপ্রিল) ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী।
এসময় তিনি বলেন, তাণ্ডবের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে পেশ করবো।
এদিকে ঘটনার ১৪ দিন পর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুছিয়ায় গেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় সেখানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনা হয় এবং আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, বিনা উস্কানিতে গুলি করে পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডাররা মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। আল্লাহ জালেমদের উপযুক্ত বিচার করবেন।
তিনি অভিযোগ করেন, আলেমদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সেদিনের সংঘাতের ভিডিওগুলোতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে কারা সহিংসতা উসকে দিয়েছিলো। নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেফাজতের ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করে আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মুবারকুল্লাহ,মুফতী সাখাওত হোসাইন রাজী,মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ অনেকেই।
Leave a Reply