দেশে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আজ রোববার থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় চলমান লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহল মনে করছেন, এর ফলে অকার্যকর হয়ে পড়েছে লকডাউনের কার্যকরিতা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেকায়দায় পড়েছেন সড়কে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ সদস্যরা।
এই লকডাউনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ থাকলেও মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় রাজধানী ঢাকার অসংখ্য মার্কেট ও শপিংমলের হাজারো দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা রাস্তায় চলাচল করছেন। পাশাপাশি মহানগরীর অসচেতন নাগরিকদের একটি বৃহৎ অকারণে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। লকডাউনের বৈধ-অবৈধতার দোলচলে এক রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে শহরের সড়কগুলোতে। মুভমেন্ট পাশবিহীন কেউ সড়কে নামলে পুলিশ ধরলে তারা উত্তর দিচ্ছেন- ‘শপিংমলে যাচ্ছি’। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও অন্য সকল ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তান, বাইতুল মোকাররম এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও উত্তরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবারের তুলনায় আজ (রোববার) রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। কোথাও কোথাও হালকা যানজটেরও সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। লকডাউনের কারণে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালকরা যাত্রী না পেলেও আজ তাদের সকাল থেকেই যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তাদের অনেকটাই নিস্কিয় থাকতে দেখা যায়।
সড়কে দায়িত্ব পালনকারী নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,‘মার্কেট খুলে দেয়ায় আজ নামমাত্র লকডাউন চলছে। শপিংমল ও খোলা রেখে লকডাউন বহাল রাখা কার্যকর কোনো ফল বয়ে আনবে না। অনেকেই এখন মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়ার কথা বলে বের হচ্ছেন। লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কী বলে আমরা সামাল দিবো? এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলক নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করা ছাড়া আমাদের আর কি করার রয়েছে।’
রাজধানীর ধানমন্ডির এক শপিং মলের কর্মচারির নাম সাগর মিয়া। আজ সকালে রোজা রেখে রোদে পুড়েই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। সড়কেই আরটিভি নিউজের সঙ্গে কথা হয় তার। তিনি বলেন, আমাদের গরীবের পরিবহন হলো ‘বাস’। লকডাউনের কারনে সড়কে বাস নেই। অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে আজ বের হওয়ায় কেবল বাস ছাড়া অন্যান্য পরিবহনের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ভাড়াও বেশি আদায় করতে তারা। এই অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে শপিং মলে আমার মতো কম বেতনে চাকরি করা কর্মচারীরা বেকায়দায় পড়েছে। তারাও রোজা রেখেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে।
Leave a Reply