আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শেষ রোজা পর্যন্ত মসজিদে থাকার পরিকল্পনা, বের করে দিল পুলিশ

শেষ রোজা পর্যন্ত মসজিদে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন একদল মুসল্লি। থাকতেও শুরু করেছিলেন তিনটি মসজিদে। কিন্তু তাদেরকে মসজিদ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তুর্কি পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত তিনটি মসজিদ খালি করতে বল প্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। করোনাভাইরাসে চলমান নিষেধাজ্ঞায় এসব মসজিদে অবস্থান করছিলেন ওই মুসল্লিরা। তারা সবাই একজন ধর্মীয় নেতার অনুসারী।

গত রোববার (২ মে) তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের মসজিদে দেখা যায়, বল প্রয়োগ করে মুসল্লিদের বের করে দিচ্ছে পুলিশ। সে সময় কেউ কেউ চিৎকার করে বলেন, ‘আমরা কোরআন পড়ছিলাম’।

মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পিপার স্প্রেও প্রয়োগ করেন। তুরস্কে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এর বিস্তার রোধে ২৯ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এ লকডাউনের আওতায় মসজিদে প্রার্থনাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

গাজিয়ানটপ প্রদেশের পুলিশের দাবি— মুসল্লিদের একটি দল মসজিদে একটানা অবস্থান করছে। তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই রোজার শেষ দিন পর্যন্ত মসজিদে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছিল।

গাজিয়ানটপ প্রদেশের গভর্নর অফিস থেকে বলা হয়েছে, তিনটি মসজিদে ৭৬ জন অবস্থান করছিল। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। এরা প্রত্যেকেই আলপারস্লান কুইতুল নামের এক ধর্মীয় নেতার অনুসারী।

প্রসঙ্গত, সোমবার তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে জানানো হয়, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৭৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৭ জনের। এ নিয়ে তুরস্কে করোনায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স

ঢাকার কণ্ঠ /এম এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget