সমাজে যদি সত্যিকার অর্থে আলেম-ওলামারা ক্রিটিসাইজ হয়, সমালোচিত হয়, তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। অবশ্যই আমি বলব সমাজের উদ্বেগ এবং অস্থিরতা বাড়বে। বলেছেন বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
এ সময় তিনি হেফাজত নেতাদের নামে দুদক থেকে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, শীর্ষ প্রায় ৫৭ জন আলেমের বিরুদ্ধে দুদক নোটিশ করেছে সম্পদের হিসাব চেয়েছে। আমি তো মনে করি আগে আমাদের এই সংসদে সাড়ে ৩০০ জন সদস্য যারা রয়েছি সর্বপ্রথম এই সাড়ে ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে দুদক থেকে নোটিশ হওয়া উচিত ছিল। তাহলে এটি সারা দেশের মানুষের কাছে সমাদৃত হত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ মানুষ গ্রহণ করত। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে হজ ব্যবস্থাপনা বিল পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
এ সময় হারুনুর রশীদ বলেন, সত্য কথা বললে স্বাভাবিক কারণে অনেকে বেজার হয়। সত্য কথাটা আসলেই কঠিন। আমরা আলেম কাকে বলব? আলেম-ওলামা তারাই যারা একেবারে সুনির্দিষ্ট ভাবে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করেন। সব মসজিদের ইমাম কিন্তু আলেম নয়।
তিনি বলেন, উদ্বেগের সঙ্গে বলছি। আমি যখন ছাত্র অবস্থায় ছিলাম, আমাদের যারা গুরুজন তারা আমাদের বলতেন এই বিষয়গুলোর প্রতি খুব সতর্ক থাকতে হবে। সমাজে যদি সত্যিকার অর্থে আলেম-ওলামারা ক্রিটিসাইজ হয়, সমালোচিত হয়, তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। অবশ্যই আমি বলব সমাজের উদ্বেগ এবং অস্থিরতা বাড়বে।
Leave a Reply