জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দেগী করা আল্লাহ্র কাছে অনেক প্রিয়। যার কারণে এ দিনসমূহের ইবাদতের উপর অনেক বেশী সওয়াব দেওয়া হয়। যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم مَامِنْ اَيَّامٍ اَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَااَحَبُّ اِلٰى اللهِ اَلْعَمَلُ فِيْهِنَّ مِنْ اَيَّامِ الْعَشْرِ فَاَكْثِرُوْا فِيْهِنَّ مِنَ التَّسْبِيْحِ وَالتَّحْمِيْدِ وَالتَّكْبِيْرِوَالتَّهْلِيْلِ.
[এক] অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলার কাছে জিলহজ্জের প্রথম দশকের নেক আমল যতটুকু প্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ, অন্য কোনো দিনের আমল ততটুকু প্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ নয়। সুতরাং তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার পড়। (তারতীবুল আমালী: ১৭৪৫)
عن ابى هريرة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم:مَامِنْ اَيَّامٍ اَحَبُّ اِلٰى اللهِ اَنْ يُتَعَبَّدَلَهٗ فِيْهَا مِنْ عَشْرِذِى الْحِجَّةِ يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَابِصِيَامِ سَنَةٍ وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ.
[দুই] রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, জিলহজ্জের প্রথম দশকে ইবাদত বন্দেগী করা আল্লাহ্র কাছে অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি রোযা এক বৎসর রোযা রাখার সমান সওয়াব রাখে। আর প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদতের সমান সওয়াব রাখে।(তিরমিযী- ৭৫৮)
وَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلَامُ: وَالْعَمَلُ فِيْهِنَّ يُضَاعَفُ بِسَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ.
[তিন] রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এ দশ দিনের যে কোনো নেক আমলের সওয়াব সাতশত গুণ পর্যন্ত দান করা হয়।
(বায়হাকী, ৩৭৪৯, সূত্র মিরকাত- ৩/৫২০)
عَنْ اَنَسِ ابْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ يُقَالُ فِىْ اَيَّامِ الْعَشْرِبِكُلِّ يَوْمٍ اَلْفُ يَوْمٍ وَيَوْمُ عَرَفَةَ عَشَرَةُ اٰلَافِ يَوْمٍ يَعْنِىْ فِى الْفَضْلِ.
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ব্যাপারে বলা হত প্রতিটি দিন মর্যাদার ক্ষেত্রে এক হাজার দিনের সমান। আর আরাফার দিন দশ হাজার দিনের সমান।
(শুআবুল ঈমান- ৩৪৮৮)
আরাফা তথা নবম তারিখের রোযা
জিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ আরাফার দিন। এ দিনে রোযা রাখার সর্বাধিক ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।
قال النبى صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ اِنِّىْ اَحْتَسِبُ عَلٰى اللهِ اَنْ يُكَفِّرَالسَّنَةَ الَّتِىْ بَعْدَهٗ وَالسَّنَةَ الَّتِىْ قَبْلَهٗ.
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আরাফার দিনে রোযা রাখার বিষয়ে আমি আল্লাহ্র নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বৎসর এবং আগামী এক বৎসরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।(তিরমিযী- ৭৪৯)
عن عائشة رضى الله عنها قَالَتْ: كَانَ رَسُوْلُ الله صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ كَصِيَامِ اَلْفِ يَوْمٍ.
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলতেন, আরাফার দিনের রোযা এক হাজার দিন রোযা রাখার সমান সওয়াব রাখে। (শুআবুল ঈমান- ৩৪৮৬)
লেখক
মুফতী জুবায়ের বিন মাওলানা আ: কুদ্দুছ
খতীব, ছাপড়া মসজিদ, আজিমপুর, ঢাকা।
কুরবানী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন ও সংগ্রহে রাখুন। ডাউনলোড করার লিংক নিচে দেয়া হলো-
https://drive.google.com/file/d/1z3tQ_P2QZP_iqy-ZI_0FhD3u4Rw9bXmk/view?usp=sharing
Leave a Reply