আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে অবদান রাখতে শপথ নিল ভোলার ডর্প ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা (ইউনিকোড)

ভোলা প্রতিনিধি।।।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এর বিশ্ব জনসংখ্যা চিত্র (২০২১) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ২৭.৫ ভাগ হলো কিশোর ও তরুণ। কিন্তু জনসংখ্যার এই অংশটি এখন ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াল থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর তাই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের স্বাস্থ্যক্ষতি থেকে কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রয়োজন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরো শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা।

আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডর্প গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১) তাদের ভোলা জেলা অফিসে একদল তরুণদের নিয়ে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে যুব সমাজের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক একটি অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল তরুণদের ডর্প ও সিটিএফকে- এর পক্ষ থেকে ধূমপান ও তামাকের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন দিক এবং এ আইন শক্তিশালীকরণে তাদের ভূমিকা বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ভোলা এর উপ-পরিচালক জনাব মোঃ আবেদ শাহ্ বলেন, “বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ কিশোর-তরুণ বয়সের। এই অংশটিকে নিয়ে আমরা বড় স্বপ্ন দেখি। আমি আশা করবো তোমরা সকল তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করবে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অবদান রাখবে এবং জাতীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে তোমাদের দাবি তুলে ধরবে।”

সভাপতির ভাষণে সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা, ভোলা সিভিল সার্জন অফিস এবং ভোলা টোব্যাকো কনট্রোল সেল এর সদস্য জনাব মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “গ্যাটস ২০১৭ সালের রিপোর্টে দেখা যায় বাংলাদেশে ১৫-২৪ বছর বয়সি প্রায় ১০ ভাগ তরুণ ধূমপানে আসক্ত। আর এই আসক্তির ফলে তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। যারা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে না, তারাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে। আমি আশা করি এখানে উপস্থিত সবাই ধূমপান ও তামাক থেকে দূরে থাকবে এবং অন্যদেরও দূরে রাখবে।”

ডর্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে অবদান রাখতে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম করার শপথ গ্রহণ করে এবং তাদের দাবি জাতীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছানোর অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব টিএসএম ফিদা হাসান এবং ডর্প ভোলার অ্যাডভোকেসি অফিসার তরুণ কান্তি দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget