সপ্তাহ বিরতি দিয়ে রাজবাড়ীতে আবার ভাঙছে পদ্মা নদীর তীর। সদর উপজেলার গোদারবাজার এলাকায় সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া ভাঙনে দুটি পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দীর্ঘ চার মাস ধরে থেমে থেমে চলছে এ ভাঙন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পেরিয়ে নদী এখন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। দুপুর ১২টার দিকে ভাঙন শুরু হওয়ার পর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পদ্মা তীরবর্তী রশিদ ব্যাপারী ও আবুল ব্যাপারী তাদের ঘরবাড়ি, আসবাবসহ অন্যান্য মালপত্র সরিয়ে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন ঠেকাতে সংশ্নিষ্ট স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে কাজ করছেন ৫০ শ্রমিক। তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ভাঙনে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা বিলীন হয়েছে।
নদীতীরের বাসিন্দা জাহানার বেগম জানান, তাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এখন কোথায় যাবেন। এই ভিটা ছাড়া তাদের আশ্রয়ের কোনো জায়গা নেই।
বৃদ্ধ আজগর আলী বিশ্বাস জানান, ‘বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। পদ্মার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।’
রশিদ ব্যাপারী জানান, ‘পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন, ভেবে পাচ্ছেন না।’
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ জানান, ‘সোমবারের ভাঙনের বিষয়ে কেউ তাকে জানায়নি।’
৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের আগস্টে। চলমান কাজের মধ্যেই ১৬ দফা ভাঙনে প্রায় দেড় হাজার মিটার এলাকার সিসি ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়েছে। শহর রক্ষা বেড়িবাঁধের খুব কাছে চলে এসেছে নদী। কোথাও কোথাও নদী স্পর্শ করেছে বেড়িবাঁধকে।
Leave a Reply