আবু মাহাজ।।ভোলা
ভোলায় নতুন জাতের আমন ধান ব্রি হাইব্রিড-৬ কর্তণ উপলক্ষে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে।
ভোলায় র্দীঘদিন ধরে আমন ধানের চাষ করে তেমন সফলতা না পেলেও এবার সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগীতায় ব্রি হাইব্রিড ৬ জাতের আউশ ধান করে সফল ভোলার কৃষকরা।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে চরমনসা সবুজ বাংলা কৃষি খামারে এ মাঠ দিবস পালন করা হয়। এ বছর ভোলা জেলায় এ নতুন জাতের ধান পরীক্ষামূলক এ ধান চাষ করা হয়। পরীক্ষামূলক এ ধান চাষে ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টর ৭.১৫ মেট্রিকটন।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলি কনফারেন্স যুক্ত হয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) এ কে এম মনিরুল আলম, বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু মোঃএনায়েত উল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ জানান, আমরা ভোলার কৃষকদের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগীতায় ব্রি হাইব্রিড ৬ জাতের আমন ধানের ব্রিজ বিনামূল্যে দিয়েছে পরীক্ষামূলক চাষ করার হয়। আর পরীক্ষামূলকই আমরা সফল হয়েছি। কৃষকরা হেক্টর প্রতি ৭.১৫ টন করে ধান পাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, আমরা আশা করছি আগামী বছর কৃষকরা ব্যাপক পরিসরে এ জাতের ধান চাষ করছে আগ্রহী হবেন। আর কৃষক সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, সবুজ বাংলা কৃষি খামারের সত্বাধিকারী ইয়ানুর রহমান বিপ্লবসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের কৃষক মো. ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা জানান, প্রথমবারের মতো ব্রি হাইব্রিড ৬ জাতের আমন ধান চাষ করেছি। ক্ষেতে ব্যাপক ফসল হয়েছে।
Leave a Reply