আজ ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

​​​​​​​মাধবপুরে প্রেমিক-প্রেমিকাকে এক সাথে দেখে ফেলায় শিশু লিজাকে হত্যা

নাহিদ মিয়া।। মাধবপুর প্রতিনিধি
প্রেমিক-প্রেমিকাকে এক সাথে দেখে ফেলা এবং বিষয়টি প্রেমিকার মাকে জানিয়ে দেয়ার কারণে ৯ বছরের শিশু লিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘাতকরা। পরে তার লাশ বাঁশঝারে ফেলে রাখা হয়।

হত্যাকান্ডের ৬ মাস পর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে হত্যাকান্ডের বর্ণানা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. আল মামুন শিকদার।

তিনি জানান, গত বছরের ২১ জুলাই ঈদ-উল আযহার দিন সন্ধায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মো. সাগর আলীর মেয়ে লিজা আক্তারকে (৯) তার মা সেলিনা বেগম প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রী আনতে গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাজারে পাঠান। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও সে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। পরে ওইদিন রাতেই শিশু লিজার বাবা সাগর আলী মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিখোঁজের চারদিন পর গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে লাকড়ি খুড়াতে গিয়ে লিজার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান এক নারী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতে লিজার বাবা সাগর আলী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পিবিআইয়ের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্ধেহে গত ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবদ করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসবাদে হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে তারা। পরে ৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আসামীদের আদালতে হাজির করলে বাহার ও তাজরীন হবিগঞ্জের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুমুর সরকারের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আসামিরা আদালতকে জানায়, গত বছরের ২১ জুলাই ঈদ-উল আযহার দিন সন্ধায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে লিজাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় ঘাতকরা। এ সময় তারা লিজাকে গলা টিপে হত্যা করে বাঁশ ঝারে ফেলে রেখে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget