আজ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সম্পাদকীয়

‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার মতো মৃন্ময়ী রূপে মাহে রমজান শেষে ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে। রমজানের কঠিন সাধনার পর মুসলিম জীবনে এক অফুরন্ত আনন্দের প্লাবন ঘটে ঈদে। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের এক মহা ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উৎসব বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজে বিশেষ আনন্দময় পরিবেশে উদযাপন করা হয়। পুরো রমজান মাস আমরা যে সংযমের অনুশীলন করেছি, তা আমাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, মারামারি, হানাহানিসহ সকল প্রকার অন্যায় অবিচার ও মানুষের সব নেতিবাচক প্রবণতার রাশ টেনে ধরবে। ঈদ যে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে, তার মর্মমূলে আছে শান্তি ও ভালোবাসা। প্রতি বছরই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে ভালোবাসার এক মহাপ্লাবন ঘটে। মুলমানদের ঐক্যের পথে, কল্যাণের পথে, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে ঈদুল ফিতর। এ দিনের সবচেয়ে উত্তম দিক হলো, সামর্থ্যবানদের দ্বারা ফিতরা-সদকার মাধ্যমে গরিবের হক আদায় করা। অন্যদিকে ঈদগাহে ধনী-গরিব নির্বিশেষে এক কাতারে নামাজ আদায় শেষে কোলাকুলির মাধ্যমে স্থাপিত হয় মহান এক সামাজিক বন্ধন। এ বছর হবে তার ঠিক উল্টো। মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে পড়লেও তা হবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে। কোলাকুলির পরিবর্তে ভালোবাসা হবে নিজ স্থানে অবস্থান করে নিজে সুস্থ্য থাকা এবং পরিবার পরিজনকে নিরাপদ রাখা। জীবনের ঝুকি নিয়ে বাড়ি না ফিরে বরং এই মহামারীতে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করা। ভালো থাকুন আপনি, ভালো রাখুন আপনার পরিবার, নিরাপদ থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো। ঈদ মোবারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget