আবু মাহাজ, জেলা প্রতিনিধি,ভোলা
আজ সকালে সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলী মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভোলা সদর মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার করা মরদেহটি দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত কয়সর আহমেদের ছেলে, মোঃ মনির। মৃত মনির এর ভাই হুমায়ুন মাঝি ও আজগর মাঝি ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, মেঘনায় মাছ ধরার সময় তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে গিয়ে তিন জেলে নিখোঁজ ছিল। তাদের মধ্যে দুই জেলেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার করে।
আজ ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া তুলাতুলী মাছঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সদর থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ৯ জেলেসহ মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিলেন তিন জেলে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুই জেলের ও আজ আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি চরপাতা ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায়।
Leave a Reply