নদীর ধারে কবর থেকে তুলেছিলেন ১৪ বছরের মেয়ের দেহ। তার পর সেই দেহের সঙ্গে করছিলেন সহবাসের চেষ্টা। এই কাজের জন্য সম্প্রতি ৫০ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের ধেমাজি জেলার সিলাপাথর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত দেমগাও এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ১৭ মে রাতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ১৪ বছরের ওই নাবালিকার। তার পর পরিবারের লোকজন তার দেহ সিমেন নদীর ধারে কবর দেয়। ১৮ মে বিকেলবেলা জেলেদের একটি দল সেখানে গিয়েছিল মাছ ধরতে। তাঁরাই দেখতে পান এক ব্যক্তি একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন সেটি একটি মৃতদেহ। ওই ব্যক্তিকেও ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম আকান শইকিয়া। জেরার মুখে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সহবাস করার উদ্দেশ্যেই মেয়ের দেহ কবর থেকে তুলেছিলেন তিনি। সিলাপাথর থানার পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ৩৭৭ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনা নিয়ে ধেমাজির ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রদীপ কোনওয়ার জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই ব্যক্তির কোনও মানসিক সমস্যা নেই। ২০১৮তে স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার পর পলাতক ছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।’’ ওই নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর পর এলাকায় রটে যায় যৌন অত্যাচারিত হওয়ার কারণেই আত্মহত্যা করেছে সে। নাবালিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।
Leave a Reply