আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গ্রামগুলো যেন একেকটি দ্বীপ, ঘরের চালে মানুষ

সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরের লোকজন বুধবার রাতভর আমফানের তান্ডবের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এখন ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব করছেন। শ্যামনগরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যন্ত গাবুরা ইউনিয়নের নয়টি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবারের সবাই কম-বেশি বিপর্যস্ত।

গাবুরার বাসিন্দা মানিক হোসেন, যিনি নিজে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে একজন স্বেচ্ছসেবী হিসেবে কাজ করেন, মোবাইল ফোনে বলেন, আমফানের তান্ডবে তিনি নিজেও চরম দুর্দশায় পড়েছেন।

আম, জাম, জামরুল, পেয়ারার বড় বাগান রয়েছে তাদের। ঝড়ে ভরন্ত এসব মৌসুমি ফলগাছের সব ফল ঝরে গেছে।

”৭০-৮০টি আমের গাছ আমাদের। দু-একটি গাছে চার-পাঁচটি আম আছে। আর সব মাটিতে। পেয়ারা গাছেগুলোর একই অবস্থা, জামরুল গাছের একই অবস্থা। কিছু গাছ পড়ে গেছে, আনেক গাছের গোড়া নড়ে গেছে। বাঁচবে কীনা জানিনা।“

তিনি বলেন, গাবুরার নয়টি গ্রামের সবাইর একই অবস্থা। তবে গাবুরার মানুষের প্রধান চিন্তা ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ নিয়ে।

মানিক হোসেন জানান, অনেকগুলো জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় জোয়ারের সময় খোলপেটুয়া নদী থেকে হুহু করে পানি ঢুকছে।

“পানি ঢুকে গ্রামগুলোকে একেকটি দ্বীপের মত লাগছে,” ।

ঘরের চালে মানুষ
দু-তিনটি গ্রামে মানুষের ঘরে-উঠোনে পানি ঢুকেছে।

“কিছু মানুষ ঘরের চালে উঠে থাকছে। ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় বা পানি ওঠায় কিছু মানুষ এখনও সাইক্লোন শেলটার রয়ে গেছেন,” তিনি জানান।

গাবুরা থেকে ঝড়ের আগের দিনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাজার দুয়ের মানুষকে নদী পার করে শ্যামনগর উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকে এখনও ফেরেননি।

শ্যামনগরের পদমপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন মন্ডল বলেন, ঝড়ে তার এলাকার “ধাপা সাইক্লোন শেলটারের কাছ থেকে শুরু করে পাতাখালি স্লুইস গেঠ পর্যন্ত“ পুরো বাঁধ ধসে গেছে।

প্রশাসনের অপেক্ষায় না থেকে এলাকার কয়েকশ লোক নিজেরাই বাঁধা মেরামতের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, গত দুদিনে তেমন কোনো ত্রাণ তার এলাকায় আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget