গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহে টিসিবি’র পণ্য পাবেন ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১টি পরিবার। জেলার ১৩টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে স্পট নির্ধারণ করে ট্রাক সেলের মাধ্যমে প্রদান করা হবে এসব পণ্য। গতকাল শনিবার (১৯ মার্চ, ২০২২) তারিখ সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার), জনাব সমর কান্তি বসাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জনাব আয়েশা হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জনাব পুলক কান্তি চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক সারাদেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সমগ্র ময়মনসিংহ জেলায় ৩ লাখ ২ হাজার ৯শ ৭১ জনকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত হারে উপকারভােগী হিসেবে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭০,৪০৯ জন সিটি কর্পোরেশনে এবং বাকি ২,৩২,৫৬২ জন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বাছাই করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ ১৩ টি উপজেলা ও পৌরসভায় মাট ৫৬৬টি স্পট পণ্য বিতরণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্য বিতরণের পূর্বে উপকারভােগী বাছাই, পরিবার কার্ড পূরণ, ডিলার নিয়ােগ ও বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সকল নির্দেশনা অনুসারে সম্পন্ন করা হয়। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুই ধাপে পণ্য বিতরণ করা হবে। যার ১ম ধাপ শুরু হবে ২০ মার্চ ২০২২ তারিখ হতে। প্রতি উপকারভোগী দুই কেজি হারে চিনি, মশুর ডাল এবং দুই লিটার সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিং এর জন্য জেলা খাদ্য গুদামাগার থেকে ৫টি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে। টিসিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী প্যাকেট সংগ্রহ করা হয় এবং দুই কেজি করে পণ্য প্যাকেটজাত করা হয়। তিনি বলেন, জেলা খাদ্য গুদামাগারে রাত-দিন দুই শিফটে শ্রমিক নিয়ােগ করে পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। প্যাকেজিং প্রক্রিয়া যথাযথ ও স্বচ্ছ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য তিন শিফটে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ অন্যান্য সকল উপজেলা থেকে কর্মচারী নিয়ােগ দেয়া হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ ২০২২) থেকে স্বল্পমূল্যে টিসিবি পণ্য দিতে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকৃত কার্ডধারীরা যেনো ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য পেতে পারে সেই লক্ষে মনিটরিং ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply