আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভূমিদস্যু মোর্শেদের নেতৃত্বে কাটছে পাহাড়,ধসছে মাটি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি । কক্সবাজার শহর সৈকতপাড়া সরকারি আবাসন প্রকল্প এর পাশে রয়েছে সুলতানপুর নামক এলাকা। এলাকাটি পাহাড়ি টিলা পরিবেষ্টিত রয়েছে। প্রতিনিয়ত এসব প্রাকৃতিক পাহাড় আর টিলা কেটে সাবাড় করছে ভূমিদস্যুরা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অব্যাহতভাবে এসব পাহাড় কাটা চলছে। রবিবার( ২০ মার্চ )দুপুর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুলতানপুর এলাকার কাপড়ের দোকান ব্যবসায়ী মোর্শেদ নামে এক ব্যক্তি। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিশাল পাহাড় কেটে সাবাড় করছেন। সুলতানপুর পাহাড়ের মাটি কেটে নিজের বাড়ির ভিটে ভরাট ও মাটি বিক্রি করছেন। পাহাড় খেকো স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে ওই স্থানে পাহাড়ে মাটি কেটে সাবাড় করার মহোৎসব চলছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুলতানপুর এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি বেহাত করে বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড়ের সর্বোচ্চ চওড়া সমতলে পরিণত করতে এ মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখে। ওই এলাকার মোর্শেদ পাহাড়টি বসতি স্থাপনের জন্য পাহাড় কাটছে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়,মোর্শেদ আলম ব্যক্তিটি কয়েকবছর আগে সাতকানিয়া থেকে এই এলাকায় অবস্থান করে।পরে সরকারি জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রচেষ্টা চালায়। প্রায় ৪ একরেরও অধিক বনভূমি তার কব্জায় এনেছে। পাহাড়ের চওড়া বিলীন করে সমতল ভূমি তৈরির কাজ ওই ব্যক্তি করছেন। প্রতিদিন ১০/১২ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটছে ভুমিদস্যু মোর্শেদ। মাটি কাটায় নিয়োজিত কয়েক জন শ্রমিক জানায়,পাহাড় কাটা মারাত্মক অন্যায় কাজ। এরপরও পেটের দায়ে জেনে-শুনে অন্যায় করছেন তারা। এবিষয়ে নিয়ে মোর্শেদ আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পাহাড় কাটা অপরাধ এটা আমি মানি, কিন্তু কক্সবাজারের সমস্ত সাংবাদিকদের নিয়ে আপনাদের অফিসে আসব। পাশাপাশি আমি সাংবাদিকদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করব। এবিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন,পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর ছয়ের (খ) অনুযায়ী সরকারী,বেসরকারী,ব্যাক্তি মালিকাদিন যেকোন টিলা বা পাহাড় কেউ পাহাড় কাটতে পারবেনা। এছাড়া তিনি আরো বলেন যেহেতু সুলতানপুরের পাহাড় কাটার বিষয়টি আমরা এখন জানতে পেরেছি। আমরা এবিষয়ে কঠোর ব্যবস্তা নিবো। পাশাপাশি পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে দ্রুত পাহাড় ও টিলা কাঁটা বন্ধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget