নিজস্ব প্রতিবেদ:
কক্সবাজারের সদর উপজেলা টার্মিনাল দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় বন বিভাগের জমি দখলে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মনের মতো অবৈধ দালান ঘর। এর দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে আরও বনভূমি দখলের করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। উজাড় করছে বনের গাছপালা পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও দিনদিন ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন। দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় পাহাড়ে বন বিভাগের জায়গা কেটে করা করা হয়েছে কয়েকটি ঘর নির্মাণ। খবর নিয়ে দেখা গেল ওই ঘর গুলো নির্মাণ করেছে একজন মালেশিয়া প্রবাসী ছৈয়দুল আমিন নামে ব্যক্তি।আরেকজন রামু উপজেলার নুরুল আমিন।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ছৈয়দুল আমিনের স্ত্রী গুলতাজ বেগম কোটি কোটি টাকার পরিবেশের ধ্বংস করে পাহাড় কেটে সাবাড় করে নির্মাণ করে যাচ্ছে দিন দিন বহুতল ভবন, এদিকে বন বিভাগের কোন ভূমিকা নেই বলে চলে।
কক্সবাজারে দিনদিন একের পর এক পাহাড় কেটে সাবাড় করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরবে রয়ে যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে ছৈয়দুল আমিনের মত কয়েকশত ব্যক্তি। এদিকে এলাকাবাসীরা জানান, তাদের দেখা দেখি অনেকে গ্রামগঞ্জ অনেক জায়গায় থেকে এসে এই এলাকায় জোরপূর্বক জবরদখল করে বনভূমি পাহাড় কেটে ঘর করেছে এবং তার পাশাপাশি একজন রামু উপজেলার নুরুল আমিন ব্যক্তি। বনের জায়গা কেটে নির্মাণ করল ঘর। এই পাহাড়ে বেশ কয়েকটি ঘর ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে দেখা গেছে। কিন্তু তারা সুকৌশলে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এসমস্ত পাহাড়ে ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছে। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছৈয়দুল আমিনের স্ত্রী জানান,তিনি তার ঘরটি করার জন্য সদর উপজেলা বন কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই বনভূমি জায়গাতে ঘর করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে সদর উপজেলা বিট কর্মকর্তা এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টা জানে না,তবে এই বন বিভাগের পাহাড় কেটে ঘর করার অভিযোগটি প্রমাণ হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা করব।
এবিষয় নিয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন,দক্ষিণ বিভাগের রেঞ্জ আওতাধীন সদর উপজেলা দক্ষিণ ডিককুলের বিট এলাকায় ছৈয়দুল আমিনের স্ত্রী ও রামু এলাকার নুরুল আমিনের দালান তৈরি নিমার্ণ করার বিষয়টা অবগত আছি। আমি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য আমার বিট কর্মকর্থাকে কে বলে দেব। বন বিভাগে জায়গাতে কোন ধরণের অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।
Leave a Reply