আজ ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আজ শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন রিজভী।

করোনা পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না সরকার : বিএনপি

বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে মনে হয় পথ হারিয়ে ফেলেছে সরকার। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে শুক্রবার লন্ডন থেকে জাতির উদ্দেশে ভিডিও লাইভে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা প্রদান করেছেন। তিনি একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। আমি মনে করি, দেশের স্বার্থেই গুরুত্ব সহকারে সেটি ভাবা উচিত। কেননা সরকার নিজেরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, অপরদিকে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তারা নিজেদের হীন দলীয় স্বার্থে সেটি গ্রহণ করার মতো মানসিকতাও তাদের নেই। সবকিছুটাই ‘আমিত্ব’ জাহির করতে গিয়ে জনগণকে অসহায় করে ফেলা হয়েছে।

রিজভী জানান, এখনকার করুণ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, দেশবাসী এবার এক অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পবিত্র সিয়াম পালন করেছে। অনেকের ঘরেই থাকছে না এবারের ঈদ উৎসবের আমেজ। মরণঘাতী করোনাভাইরাসের হানায় অনেকেই স্বজন হারিয়েছেন। নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হারিয়েছেন অল্প আয়ের চাকরি কিংবা স্বল্প পুঁজির ব্যবসা-বাণিজ্য। অপরদিকে ক্ষমতাসীন অপশক্তি কর্তৃক গুম, খুন, অপহরণ আর জেল-জুলুমে অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

একদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক অন্যদিকে খাদ্যাভাবে ঘরবন্দি অসংখ্য অগণিত মানুষের হাহাকার। এরইমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাত জনজীবনে নতুন করে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলায়, সময়ের দাবি হলো, দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শন। সতর্কতা-সহায়তা-মানবিকতার চেতনায় অসহায় মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। সারাদেশে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান এবং ত্রাণের চাল ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আহবান জানানো হলেও সেনাবাহিনীকে না দিয়ে সে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের হাতে। ফলে গরিব মানুষের জন্যে দেয়া ত্রাণের চাল এখন পাওয়া যাচ্ছে আওয়ামী নেতাদের গুদামে, পুকুরে কিংবা খাটের নিচে। ‘ত্রাণ চোর’ থেকে ‘চাল চোর’, সেই একই চক্র, একই দল, একই কাহিনী, একই বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget