করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে তিন শতাধিক লোকের সমাগম করে ইফতার পার্টির আয়োজন করে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। যেখানে মানা হয়নি কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব। আর ছাত্রলীগের ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। এ ছাড়াও ওই সামাজিক দূরত্বহীন ইফতার পার্টির ছবি তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন তিনি। এতে সমগ্র বামনা জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের নব নির্মিত সাইক্লোন সেল্টারের নিচে এ ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার পার্টিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কামরুল ইসলাম নিজাম মৃধা, শিল্পপতি ও সমাজসেবক মো. জাকারিয়া হোসেন মহারাজ, ডৌয়াতলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন খান ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যপারে কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের আওতাধীন ডৌয়াতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ শান্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দেড় শতাধিক লোক ছাত্রলীগের ইফতার পার্টিতে যোগদান করেন। তবে আমরা প্রশাসনকে না জানিয়ে ভুল করেছি। আর চেয়ারম্যান মিজান ভাই সবার শেষে এসে ইফতার পার্টিতে যোগ দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে কাকচিড়া সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম তুহিন পহলান বলেন, আমাকে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত দিয়েছিলো। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আমি অংশগ্রহন করিনি। তবে তাদেরকেও এই আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম।
ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমি জানতাম না এতো লোকের আয়োজন ওই ইফতার পার্টিতে। তবে প্রথমে বেশি লোক ছিলো না পরে ছোট ছোট বাচ্চারা এসে পড়ায় লোকসংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, করোনা দুর্যোগ চলাকালীন এ ধরনের ইফতার পার্টি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও গোপনে যারা এতো লোকসমাগম করে এ ধরনের ইফতার পার্টির আয়োজন করেছেন তারা নিশ্চয়ই অন্যায় করেছে। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply