গৃহকর্মী মারুফা হত্যার প্রতিবাদে এবং এর বিচারের দাবিতে উত্তাল পুরো জেলা। ক্রমে এ অন্দোলন জোরদার হয়ে শহর থেকে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলেও ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
ঈদের দিন (২৫ মে) মারুফা হত্যার প্রতিবাদী আনন্দোলন এরই ধারাবাহিকতায় মোহনগঞ্জ শহীদ মিনারে মাগরিব নামাজের পর বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকজন জড়ো হয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন মানববন্ধন পালিত করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৯ মে চেয়ারম্যান কাঞ্চনের বাসার কিশোরী গৃহকর্মী মারুফা (১৪) আত্মহত্যা করেছে বলে লাশ নিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই হাসপাতালে যান। পরে শিশুটির গায়ে স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে যখমের চিহ্ন দেখে হাসপাতালের এবং স্থানীয় মানুষদের মাঝে সন্দেহ হলে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তের পর লাশ মারুফার বাবার বাড়ি সিংধা এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে হওয়ায় ভয়ে কলমাকান্দা নানার বাড়িতে নিয়ে দাফন করে। চেয়ারম্যান বিভিন্নভাবে মারুফার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মহত্যা মামলায় সই করাতে চায়। পরে মেয়ের মা আকলিমা আক্তার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসীর হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল মোহনগঞ্জ থানায় ১১ মে মামলা নেয়। ওই রাতেই পুলিশ চেয়ারম্যানকে আটক করে ১২ মে আদালতে প্রেরণ করলে ১৪ মে চেয়ারম্যান জামিনে ছাড়া পায় চেয়ারম্যান কাঞ্চন।
Leave a Reply