আব্দুর রাজ্জাক কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ায় আঃবারেক এর বাড়ি থেকে ১ নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করেন স্থানীয় জনগন।
রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আটক করে ভূরুঙ্গামারী থানায় জানালে থানা পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক (৩৫), পাথরডুবি ইউনিয়নের পাথরডুবি গ্রামের মোস্তাফিজুর এর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন স্বপ্না (৩২) ও ফজর আলীর ছেলে আয়নুল হক (৪২)।
স্থানীয়রা জানায় আব্দুল বারেক প্রায় ৪ বছর আগে এখানে বাড়ি করে। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে দিনেও যেমন অচেনা মহিলা-পুরুষ আসতো রাতে আরো বেশী আসতো। বারেক ও তার স্ত্রী দেহ ও মাদকের ব্যবসা করে আসছে । এ বিষয়ে বারেক ও তার স্ত্রীকে অনেক বার নিষেধ করা বলা হয়েছিলো, আমরা এখানে সমাজ নিয়ে থাকি, আমাদের মান সম্মান আছে। এখানে এগুলো কাজ করা যাবে না। তাঁরা যে এরকম ব্যবসার সাথে জড়িত তা সেটা অস্বীকার করতো। তাই প্রামানের জন্য আমরা এলাকাবাসী অপেক্ষা করেছিলাম আজ তার প্রমান হলো।
স্থানীয় খইরুল, আকরাম সহ অনেকে বলেন, রবিবার সকালের দিকে ২ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ পর্যায়ক্রমে বারেকের বাড়িতে ঢুকে।তারপর আমরা স্থানীয়রা দুপুরে ১ টার দিকে বারেকের বাড়ি ঘিরে ফেলি। পরে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই বিভিন্ন জন ভিভিন্ন দিকে দৌড়াতে থাকে।পরে একটি রং এর খালি কন্টেইনার এর ভিতরে বড় একটি গাঁজার প্যাকেটসহ ১ জন মহিলা ও ২ জন খদ্দেরকে আটক করি। সে সময় অজ্ঞাতনামা ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলার সঙ্গে ওই বাড়ির মালিক আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী জাহানারাও পালিয়ে যায়। আটকের পরে বাতরুমে গিয়ে কয়েকজন মিলে দেখি সেখানে ফেন্সিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন অনৈতিক কাজে জড়িতরা নিবর্তন মূলক আইন ১৫১ তে যাবে, পরে অনৈতিক কাজের যে ধারা সে ধারায় প্রতিবেদন যাবে এবং বাড়িতে ১০০ গ্রাম মাদক পাওয়ায় বাড়ির মালিকে মাদক মামলা দেওয়া হবে।
Leave a Reply