মেরাজ হোসেন, নওগাঁ
নওগাঁর নিয়ামতপুরের বালাতৈড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধনের আগেই রহস্যজনক ভাবে চুরি হয়ে যায় ৬টি ল্যাপটপ। এখনো চুরি যাওয়া ল্যাপটপ বা চোরের কোন সন্ধান করতে পারেনি থানাপুলিশ।
তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে বালাতৈড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এর ৬টি ল্যাপটপ রহস্যনজক ভাবে চুরি হয়। ল্যাবের তালা না ভেঙ্গে, লকের নাট খুলে ল্যাবের ১৭টি ল্যাপটপের মধ্যে ৬টি ল্যাপটপ চুরি করে নেয় রহস্যজনক চোর। বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য দরজার লকের কাছে আগুন দিয়ে পড়ানো হয়েছে বলে ধারনা অনেকের।
ওই বিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বলেন, ঐ দিন আমি সকালে প্রথম আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আহসানের কাছ থেকে ফোন পাই। তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ল্যাবের দরজা খোলা রয়েছে। আমি সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে বিদ্যালয়ের সভাপতি, মাধ্যমিক স্যারকে ফোনের মাধ্যমে অবগত করি এবং বিদ্যালয়ে ছুটে যাই। বিদ্যালয়ে গিয়ে আইসিটি শিক্ষক ও অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের সাথে নিয়ে ল্যাবে গিয়ে দেখি ১৭টি ল্যাপটপের মধ্যে ৬টি ল্যাপটপ, দুইটি ল্যাপটপের ব্যাগ ও মাউস চুরি গিয়েছে।
এর পর থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। চুরির কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ও চোরের কোন সন্ধান করতে পারেনি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আহসান ও আরেক সহকারী শিক্ষক হাসান শাহরিয়ার (ফটিক) বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে এসে দেখি ল্যাবের দরজা খোলা এবং ৬টি ল্যাপটপ চুরি হয়ে গিয়েছে। দরজার কাছে নাট পড়ে ছিলো।
বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আবেদ আলী বলেন, আমি নিচতলার সকল দরজা চেক করে একটি কক্ষে অবস্থান করছিলাম। সারা রাত জেগে ছিলাম। কখন চুরি হয়েছে আমি বুঝতেও পারিনি। দোতলার মেইন গেটের চাবী আমার কাছে থাকে না। চাবী প্রধান শিক্ষিকা ও আইসিটি শিক্ষক বিপেন্দ্রনাথ স্যারের নিকট থাকে। আমি শুধু নিচের ঘরগুলো দেখতে পাই। উপরের কোন ঘর দেখতে পাই না।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply