আব্দুর রাজ্জাক কাজল কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় প্রচন্ড শীতের মধ্যেও চাহিদার তুলনায় অর্ধেক মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে রাত দিন অর্ধেক সময়ই বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার লোডশেডিং হচ্ছে রাতেও। বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের কৃষক ছালাম,আলম,মশিউর,হাকিম, ছবর, শরিফ,সামাদ জানায় জমিতে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করে ইরি ধান লাগাবো কিন্তু বিদ্যুৎ লোডশেডিং হওয়ায় জমি প্রস্তুত করতে পারছি না।ইরি ধান লাগানো পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা,জমিতে ধান লাগানো দেরি হলে এতে করে লোকসানের আশঙ্কাও রয়েছে আমাদের।
পাথরডুবী ইউনিয়নের কৃষক রহিম,শাহাজামাল তিলাই ইউনিয়নের সুজন,গোলাম হোসেন,শিলখুড়ি ইউনিয়নের বেলাল,বাবু,পাইকেছছরা ইউনিয়নের ডালিম,পাবেল,পাপনসহ অনেকেই বলেন বিদুৎ পাচ্ছি না একদম এদিকে ধান লাগানোর জন্য যে বিজ রোপন করে ছিলাম সেগুলো বয়স বেশী হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।আর দেরি করে ধান লাগালে ধানও অনেক কম হবে।
সদরের কালাম জানায় বিদ্যুৎ না থাকায় ডিজেল তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দিয়ে কিনে শ্যালো মেশিন দিয়ে জমি প্রস্তুত করতেছি ইরি ধান লাগানোর জন্য।তেলের যে দাম আবাদ করে কোনো লাভ হবে না। ঘরের ভাত খাব এতটুকুই।
ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিসের এজিএম কুমার আবীর শুভ জানান ভূরুঙ্গামারীতে সেচের লাইন দুই হাজার চারশো।বিদুৎ এর এখানে প্রয়োজন ৬-৭ মেগাওয়াট।কিন্তু আমরা পাচ্ছি বিদ্যুৎ প্রয়োজনের থেকে অর্ধেক ৩.৫ মেগাওয়াট।
গত ২২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ হতে পায়রা ইউনিট-২ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মাইনর মেইনটেনেন্সের কারণে বন্ধ আছে। পায়রা ইউনিট-২ এর সংরক্ষন কাজ চলতি মাসের ২৪ তারিখে শেষ হবে।এরপর বিদ্যুৎ লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে এই আশা ব্যক্ত করেছেন।
Leave a Reply