ঢাকার কন্ঠ: কর্নফুলি লঞ্চের সম্মান খুন্ন করতেই কিছু কুচক্রী মহল যৌনহয়রানীর কারনে নারী নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট করে এবং সেটি বিভিন্ন পত্রিকায় চলে আসে। আজ কর্ণফুলী নিজস্ব ফেইসবুক পেইজ থেকে তারা বিস্তারিত তুলে ধরলেন। সেদিনের ঘটনাটি কি হয়েছিল ঘটনাটি হুবাহু কর্ণফুলী লঞ্চের পেইজ থেকে তুলে ধরা হলো।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ !
সুপ্রিয় যাত্রী সাধারনগন, আজ দুই দিন যাবত এম.ভি কর্নফুলি-১৩ এর একটি ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়! বাস্তব ঘটনা হলঃ- একটি মেয়ে তজুমদ্দিন ঘাট হতে লঞ্চ ছাড়ার কিছুদূর যাওয়ার পর লঞ্চ থেকে লাফ দেয়। আমরা তদন্ত করে জানতে পারলাম যে মেয়েটি নিচতলার কেন্টিনের বাবুর্চি মোঃ গিয়াস উদ্দিনের পূর্ব পরিচিত। মেয়েটি গিয়াসউদ্দিন এর নিকটাত্মীয়ের বাসায় কাজ করত। কিছুদিন পূর্বে ঐ বাসা থেকে টাকা এবং মোবাইল ফোন চুরি করে চলে আসে।
গত ০৪/৭/১৩ ইং তারিখে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠে নিচ তলার ডেকে বিছনা করে। তজুমদ্দিন ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর গিয়াস উদ্দিনের সাথে মেয়েটির সাথে দেখা হয়। গিয়াস উদ্দিন তাকে টাকা ও মোবাইলের কথা জিজ্ঞেস করিলে মেয়েটি তা স্বীকার করে। গিয়াস উদ্দিন তাকে লঞ্চে থাকতে বলে এবং যাদের টাকা ও মোবাইল চুরি করেছে তারা সকালে ঢাকার আসার কথা বলে সে তার কাজে চলে যায়। পরক্ষণেই বেলা ৬.১৫ মিনিটের সময় মেয়েটি ধরা খাওয়ার ভয়ে পিছন থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখে ব্যাগ নিয়ে পানিতে লাফ দেয়।
তার লাফ দেওয়ার সাথে সাথেই আমাদের ষ্টাফ মোঃ সাদ্দাম লাইফ বয়া তার উদ্দেশ্য ছুড়ে মারে। মেয়েটি লাইফ বয়াটি ধরার চেষ্টা না করে মাছ ধরার ট্রলারটিতে উঠে যায়। মাষ্টারব্রীজে খবর গেলে মাষ্টার লঞ্চ টবের করে। লঞ্চটি টবের করার পরে ভাটিয়াল পানি,প্রচন্ড পুবালী বাতাস এবং সাইডে ব্লক থাকার কারনে জাহাজ ইচ্ছে করলেও মুহূর্তে পিছনে ঘুরানো সম্ভব না।কারন লঞ্চে প্রায় ৫০০ এর উপরে যাত্রী ছিল সবার জীবনতো আর মাষ্টার বিপদে ফালাইতে পারে না। মাষ্টার টবের করা অবস্থায়ই যখন শুনল মেয়েটি একটি ট্রলারে উঠেছে তারপর উনি লঞ্চ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে এসেছে। পরবর্তীতে নিউজে দেখতে পাইলাম তাকে নাকি যৌন হয়রানী করার কারনে ইজ্জত বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে দিনের আলোতে লঞ্চে এত শত শত লোক কাউকে কিছু না বলে লঞ্চ থেকে ঝাপ দিবে কেন?
মোদ্দাকথা কিছু কুচক্রি মহল আমাদের ৩৫ বছরের ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার জন্য কিছু নামদারী সাংবাদিক দ্বারা সত্য মিথ্যা যাচাই না করে একটি বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে। আজ সকালে কেন্টিন বাবুর্চি গিয়াস উদ্দিন কে আমরা তদন্তের স্বার্থে তজুমদ্দিন থানার পুলিশের নিকট সোপর্দ করি। থানাতেই মেয়ে এবং গিয়াস উদ্দিন কে সামনা সামনি করলে মেয়েটি আসল ঘটনা স্বীকার করে।
আমরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এর কোন মতামত না নিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক মনগড়া সংবাদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Leave a Reply