ভারতে করোনায় মৃতদের লাশের সত্কারে গাফলতি নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। মুসলিম নারীর লাশ শ্মশানে দাহ এবং হিন্দু নারীর লাশ কবরে পাঠানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রকাশ্যে এলো করোনায় মৃত লাশের কুকুরে কামড়ে খাওয়ার মতো মর্মান্তিক দৃশ্য। এবারের ঘটনা হায়দরাবাদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হায়দরাবাদের ব্যস্ত একটি শ্মশান। সেখানে একটি সদ্য জ্বলে যাওয়া চিতার আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল কুকুর। তার মধ্যে একটি আবার করোনায় মৃত আধপোড়া দেহের একটি অংশ মুখে করে চিবোচ্ছে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনের প্রবল রোষের মুখে পড়ে পৌর প্রশাসন। কেন মৃতদেহ সত্কারের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি, তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
জবাবে গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় চিতার আগুন নিভে যায়। তখনই একটি ভাঙা দেওয়াল দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায় কুকুরের দল। প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছে ৫ জুলাই। এরপর অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুরনিগমের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সনত্নগর শ্মশানে কভিড- ১৯ নিয়ম মেনেই দেহটি সত্কার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি এসে যাওয়ায় চিতার আগুন নিভে যায়।’
কর্মকর্তা আরো জানান, দেওয়ালের একটি অংশও বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে। ফলে এলাকার কুকুরের দল সহজেই সেখানে ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর চিতার উপর ছাউনি দেওয়া হয়েছে। ভাঙা দেওয়ালটিও সারানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি বৈদ্যুতিক চুল্লিও তৈরি করা হচ্ছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কুকুরগুলো দেহের পাশে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আর কোনো দেহাংশ আশপাশের এলাকায় নিয়ে গেছে কি না, তা জানতে পুরসভার একটি দলকে ওই এলাকা পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জিএইচএমসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শ্মশানে করোনায় মৃতদেহ দেহ সত্কার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তারাই তিন শিফটে সবদিকে নজর রাখবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
Leave a Reply