আজ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আসুন জেনে নেই আয়া সুফিয়ার ইতিহাসের গোড়ার কথা ।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে স্থাপিত এ স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জার জন্য সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়। ১২০৪ সাল পর্যন্ত এ স্থাপনাটি গির্জা হিসেবে উপাসনা চলে।১২০৪ সালের পর এটি ক্যাথলিক গির্জায় রূপান্তরিত হয়। যা প্রায় ৫৭ বছর ক্যাথলিক গির্জা হিসেবে ব্যবহারের পর ১২৬১ সালে তা আবার অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তরিত হয়। আর তা ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯২ বছর স্থায়ী হয়।১৪৫৩ সালে (পঞ্চদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে) এ অঞ্চলটি উসমানিয় খলিফাদের দখলে আসে। উসমানিয় শাসকরা এ স্থাপনাটিকে মসজিদে পরিণত করে। যা ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। সে সময় এ স্থাপনাটিকে ‘ইম্পেরিয়াল মসজিদ’ নামে ঘোষণা দিয়ে প্রধান মসজিদের মর্যাদা দেয়া হয়।৪৮২ বছর পর আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্ক  ১৯৩৫ মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন । গতকাল শুক্রবার তুরস্কের শীর্ষ আদালত ১৯৩৪ সালের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিলের কয়েক মিনিটের মধ্যে তুর্কি সরকার প্রধান  এরদোয়ান আয়া সুফিয়াকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা  করেন তুরস্কের মুসলিমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে কিছু বিপরীত চিত্র দেখা গেছে অনেকেই জাদুঘর রাখার পক্ষে মত দিতে দেখা গেছে  ।যুক্তরাষ্ট্র,রাশিয়া গ্রিস ও ইউনেস্কা এই রায় প্রাকাশের আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে ।তুরস্কের দাবি এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে।

হোসাইন আহমদ

কেরানীগঞ্জ ঢাকা।

hossain340@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget