আজ ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার ভেলুমিয়ায় মামলা করে বিচার না পেলেও মিথ্যা মামলায় বিপাকে একটি পরিবার

ভোলা প্রতিনিধি।

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি ২নং ওয়ার্ডে নির্যাতন ও ছিনতাই মামলায় বিচার পায়নি বাদী পক্ষ। উল্টো আসামী পক্ষের মিথ্যা ও নাটকীয় মামলায় বর্তমানে বিপাকে বাদী পক্ষ।

আদালতের মামলা ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, গত ২/৫/২৩ইং তারিখ রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জুপট্টি ২নং ওয়ার্ডের আবদুর রব মিলনের স্ত্রী মাহিনুর বেগম, স্বামী মিলন, বাজারে থাকাতে সে নিজ ঘরে একা ছিলেন। এ সুযোগে পার্শ্ববর্ত্তী চুরি ও ছিনতাই চক্রের মূল হোতা মৃত ওয়াহেদ হাওলাদারের ছেলে, খোকন হাওলাদারের নেতৃত্বে খোকন জমাদ্দারের স্ত্রী নাছিমা বেগম, মনির হোসেনের স্ত্রী এলাচি বেগম, খোকন হাওলাদারের স্ত্রী জোসনা বেগম, কৌশলে মাহিনুর বেগমের ঘরে প্রবেশ করে।

এসময় দূর্বৃত্তরা মাহিনুরকে জিম্মি করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কর ও ঘরে থাকা নগদ টাকা ও দামীয় আসবাব পত্র ছিনিয়ে নেয়। এসময় মাহিনুর বাঁধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দূর্বৃত্তদের আঘাতে মাহিনুরের শরীরের বিভিন্ন যায়গা ফুলা জখম হয়। পরে তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী প্রথমে স্থানীয় ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেণ। এতেও কোন প্রকার সু-ফল মেলেনি তার ভাগ্যে সর্বশেষ মাহিনুর বাদী হয়ে গত ১১/০৫/২৩ইং তারিখে ভোলা বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেণ। মামলা নং- ২৩০/২৩।

এ মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ভোলা সদর থানার ওসিকে তদন্তের জন্য আদেশ দেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত খোকন হাওলাদার ও নাছিমা বেগম মাহিনুরের দায়েরকৃত মামলা থেকে বাঁচার জন্য গত ১৪/০৫/২৩ইং তারিখে ভূক্তভোগী বাদী মাহিনুরসহ ৬জনকে আসামী করে আদালতে একটি মিথ্যা ও নাটকীয় মামলা দায়ের করেণ। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাগেছে, চতুর নাছিমা নিজেই নিজের মাথায় ব্লেড দিয়ে ক্ষত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মাহিনুরসহ ৬জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩৩/২৩। এ মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে ভোলা সদর থানাকে এফআইআরের জন্য নির্দেশ দেন। বর্তমানে এ মিথ্যা মামলার আসামী মাহিনুরসহ ৪জন পুলিশের ভয়ে বিভিন্ন যায়গায় পলিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার সচেতন মহল জানান, দেশে মনেহয় সু-বিচার নাই। অভিযুক্ত খোকন, নাসিমাসহ ৪জন প্রথমে মাহিনুরের ঘরে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালিয়ে ঘরে লুট-তরাজ চালায়। এর বিচারের দাবীতে মাহিনুর সর্বপ্রথম স্থানীয় পুলিশ ফাড়িতে ও পরে ভোলা সদর থানায় অভিযোগ ও সর্বশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে। এ তিনটি যায়গায় অভিযোগ করেও সে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার বিচার পায়নি। কিন্তু নাসিমা নিজের হাতে নিজে আহত হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে অহেতুক মাহিনুরসহ চারজনকে হয়রানির উপর রেখেছে।

এ ব্যাপারে তাদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, মাহিনুরসহ ওই এলাকার সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর..

ফেসবুকে আমরা

Facebook Pagelike Widget